নাটোরে চলছে গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক, নাটোর: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চলছে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে পালাগান, যাত্রাপালাসহ বাংলা লোক সংস্কৃতির নানান উপাদানের উৎসব। এরই অংশ হিসেবে নাটোরে চলছে গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিবন্ধিত যাত্রাদলসমূহ এই উৎসবে যাত্রাপালা পরিবেশন করছে।
নাটোরের নিবন্ধিত যে চারটি যাত্রা দল যাত্রাপালাগুলো পরিবেশন করছে সেগুলো হলো, পদ্মা অপেরা, মৌসুমি যাত্রা ইউনিট, নিউ বাসন্তী শিল্পী গোষ্ঠী ও শিল্পী তীর্থ যাত্রা ইউনিট।
গত ১৪ নভেম্বর প্রথম মঞ্চায়নে নলডাঙ্গা হাইস্কুল মাঠে পদ্মা অপেরা পরিবেশন করে “বদলে যাওয়া বাংলাদেশ”। ঐদিন বিকেল সাড়ে চারটা থেকে অনুষ্ঠিত এই যাত্রাপালা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান আকরামুল হক ও নলডাঙ্গা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক মামুনুর রশিদ।
এরপর গত ১৬ নভেম্বর দ্বিতীয় যাত্রা মঞ্চস্থ হয় বড়াইগ্রাম উপজেলায়। সন্ধ্যা ছয়টায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে মৌসুমি যাত্রা ইউনিট “শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ” শিরোনামে যাত্রা পরিবেশন করে।
গতকাল ১৭ নভেম্বর শুক্রবার নাটোর সদর উপজেলার রাণীভবানী রাজবাড়ী মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় যাত্রা পালা। এদিন নিউ বাসন্তী শিল্পী গোষ্ঠী মঞ্চস্থ করে “বদলে যাওয়া বাংলাদেশ” যাত্রাপালা।
আগামী ২০ নভেম্বর লালপুর উপজেলা মিলনায়তনে শিল্পী তীর্থ যাত্রা ইউনিট পরিবেশন করবে উৎসবের চতুর্থ ও শেষ মঞ্চায়ন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এবং নাটোরের নলডাঙ্গা, বড়াইগ্রাম, ও সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই যাত্রাপালা উৎসবের সকল প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালাচারাল অফিসার রাকিবিল বারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নাটোর এর সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা প্রশিক্ষক সৈয়দ মাসুম রেজা, গীটার প্রশিক্ষক ওয়াসিম আকরাম (শু ভ্র) প্রমুখ।
What's Your Reaction?