নাটোর-২ আসনে মালেক শেখের নাম এখন মুখে মুখে
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক সার্বিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ, জনসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠক, শান্তি-সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন এবং সেই সাথে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থণা করে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, ভেহিকেল স্টিকার, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা থেকে শুরু করে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাটোর-নলডাঙ্গাবাসীর মুখে মুখে ফিরছে এমন একজন ব্যক্তির নাম, যিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক, আইনজীবী, পত্রিকার সম্পাদকসহ নানান ধরণের সমাজসেবামূলক উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত। নাটোর নলডাঙ্গার সাধারণ মানুষ চায় নেতৃত্বের পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তন এনে দিতে পারে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন, এমনটাই বিশ্বাস এই জনপদের মানুষের।
মানুষটি হচ্ছেন বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক উত্তরবঙ্গবার্তা ও দৈনিক উত্তরপথ ডটকম এর সম্পাদক, ’৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো) নাটোর এর সভাপতি এডভোকেট এম মালেক শেখ।
মালেক শেখ নাটোরের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী পরিবারের সন্তান। এই এলাকার মাটি ও মানুষের নেতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নাটোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক উত্তরবঙ্গবার্তার প্রকাশক ও প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক, ইংগিত থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তথা নাটোরবাসীর অত্যন্ত আপনজন এডভোকেট হানিফ আলী শেখ এর ছোট ভাই হলেন এই এডভোকেট মালেক শেখ। তাঁর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। হানিফ শেখ, মালেক শেখ ও তাঁর পরিবারের কথা দেশবাসী না জানলেও জানেন নাটোরবাসী। এই পরিবার কয়েক যুগ ধরে সুখে দুঃখে সাধারণ জনগণের পাশে অবিচলভাবে পাশে ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে গণমানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে অনন্য তার অর্জন। নাটোরের প্রতিটি ঘরই মালেক শেখের আপন ঘর, প্রতিটি ঘরেই তিনি সন্তান বা ভাইয়ের ভালোবাসায় সমাদৃত হন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযোগী একজন কর্মী হিসেবে জনতার মালেক শেখ আগামী সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ আসনের প্রার্থী হচ্ছেন। এ যেন কোন ব্যক্তির প্রার্থিতা নয়, আসনের প্রার্থী নাটোর-২ আসনের সকল জনগণ।
বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এডভোকেট এম. মালেক শেখ ১৯৭৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী জেলা নাটোরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই মালেক শেখ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। জেলা আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাটোরের প্রায় সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক ও জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তিনি সম্পৃক্ত রয়েছেন।
এডভোকেট এম. মালেক শেখ, মরহুম হযরত আলী শেখের ৪র্থ সন্তান ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক জননেতা এডঃ হানিফ আলী শেখ এর সর্ব কনিষ্ঠ ভাই। মালেক শেখের পরিবারের অবদান সম্পর্কে দলের তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মী-সমর্থক ও সাধারণ জনগণ অবগত। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সুখে-দুঃখে ও যেকোনো প্রয়োজনে নাটোরবাসীর পাশে থাকায় সদর-নলডাঙ্গা সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন মালেক শেখ।
এডভোকেট মালেক শেখের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী শেখের রাজনৈতিক অভিষেক ঘটে ১৯৫৪ সালে, বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি পাকিস্থান বিরোধী আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বর্বরোচিতভাবে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দলের সংকটকালীন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের আগলে রেখে ঐক্যবদ্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন হযরত আলী শেখ ও তাঁর পরিবার।
মালেক শেখের বড় ভাই নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এডভোকেট হানিফ আলী শেখ। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হানিফ শেখের। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি নাটোর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যুক্ত থেকে দলকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন। নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক হানিফ শেখের প্রতি আস্থাবান হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন বার আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
এডভোকেট মালেক শেখ পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন।তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর সারাদেশের মতো নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী তথা আপামর জনগণের উপর শুরু হয় ভয়াবহ অত্যাচার ও নিপীড়ন। বাংলা ভাই সহ জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থানে নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে সরকারি চাকরি ছেড়ে ভাই হানিফ শেখের সহযোদ্ধা হিসেবে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন মালেক শেখ।
মালেক শেখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
এডভোকেট মালেক শেখ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক উত্তরবঙ্গবার্তা আওয়ামী লীগের অলিখিত মুখপত্র হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
এডভোকেট মালেক শেখ নাটোর জেলায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক, জনসেবামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি বিনামূল্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আইনি সেবা প্রদান করার স্বীকৃতিস্বরুপ শেরেবাংলা ফজলুল হক স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছেন।
এছাড়া তিনি নাটোর জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক, নাটোর জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক, নাটোর ছাতনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, ৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি কেন্দ্রীয় সদস্য ও নাটোর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তিনি হানিফ আলী শেখ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এর দায়িত্বও পালন করছেন। বিশেষত হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ ফাউন্ডেশন, নাটোর শাখার সাধারস সম্পাদক পদে অত্যন্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শীতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।
এর আগে অ্যাডভোকেট মালেক শেখ স্বনির্ভর নাটোর কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাটোর নব-বিধান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আবহমান সাংস্কৃতিক গোষ্টি এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর সাধারন সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সাংগঠনিক সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন।
এছাড়াও তাঁর জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম, জনগণের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা এবং সমাজসেবা ও মানবকল্যাণে ভূমিকা রাখায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মালেক শেখ বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও জনকল্যাণমূলক সংগঠনের আজীবন সদস্যপদ লাভ করেন। তন্মধ্যে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,জেলা ডায়াবেটিক সমিতি,ভিক্টোরিয়া পাবলিক লাইব্রেরী,চর্যাপদ পাবলিক লাইব্রেরী ও নাটোর জেলা রোগী কল্যান সমিতি অন্যতম।
সকাল থেকে রাত অবধি জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত থাকা মালেক শেখের সার্বিক কার্যক্রম এই ক্ষুদ্র পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। মালেক শেখের সততা, দক্ষতা, কর্মী বান্ধব সাংগঠনিক তৎপরতা ও গতিশীল নেতৃত্ব সময়ের পরিক্রমায় পরীক্ষিত বিষয়। কিন্তু সবকিছুর ঊর্ধ্বে মালেক শেখ একজন বড় মাপের ও উদার মনের একজন মানুষ। রাজনৈতিক বিভাজনে না জড়িয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন আপন মনে। তাই জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নর ঊর্ধ্বে। তিনি জনতার মাঝে অবস্থান নিয়েছেন স্বমহিমায়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি নাটোরবাসীর আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক অ্যাডভোকেট মালেক শেখকে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন, তবে এ প্রাপ্তি ঘটবে নাটোরের কৃষক, শ্রমিক ছাত্র, জনতা তথা আপামর জনসাধারণের। প্রতিদানে নাটোরবাসী বিপুল ভোটের ব্যবধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জয় উপহার দিবে ইনশাআল্লাহ।
What's Your Reaction?