নাটোর-১ আসনে পায়ে হেঁটেই প্রচারণায় এগিয়ে আনিছুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর: কচ্ছপ আর খরগোশের শিক্ষামূলক গল্পটি আমরা কমবেশি সকলেই জানি। সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ৫৮, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনিছুর রহমান বিশেষ আলোচনায় এসেছেন। ভিন্নধর্মী নিজস্ব কর্মসুচির কারণে তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের মুখে মুখে ফিরছে তার নাম ।
জানা গেছে বর্তমান যুগে মোটরসাইকেল আর গাড়িবহরের শো-ডাউন করার যে ধারা চলে আসছে রাজনীতবিদদের মধ্যে, সেই ধারায় গা না ভাসিয়ে তিনি সভা, সমাবেশ ও জন সংযোগ করছেন পায়ে হেঁটে। নির্বাচনি এলাকায় প্রতিটি বাজারে ও বাড়ীতে গিয়ে জন সাধারণের সাথে দেখা করছেন এবং নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরছেন। বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতার মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন আদায় করছেন।
এমন কৌশলী প্রচারে এলাকায় ব্যপক সাড়া ফেলেছেন। তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে ১৯৭৪ সালে সিদ্ধেশ্বরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মম ও জঘন্য হত্যাকান্ডের পর দুঃসময়ে মতিঝিল থানা ছালীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। খুনী জিয়ার নির্মম দুঃশাসনের সময় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনও সংগ্রামে ব্যপক ভূমিকা পালন করেন।
পরবর্তীতে পেশাগত কারণে তিনি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি প্রথমে সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন (ঢাকা মহানগর) আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং পরবর্তীতে কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি নয়াগাঁও বায়তুল হক জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে আছেন। বর্তমানে তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি লালপুরে হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি হিসেব বিভিন্ন সমাজ সেবায় সর্বদা নিয়োজিত আছেন। পিতা মরহুম হাফিজুর রহমান শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মোঃ হাবিবুর রহমান পুবালী ব্যাংক এর ডিজিএম ছিলেন, ৩য় ভাই রাশিদুর রহমান এবং ৪র্থ ভাই সাইদুর রহমান উচ্চ শিক্ষিত ও বিশিষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ী। বর্তমানে তাঁর ছোট ভাই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম, পিপিএম এবং তিনার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন, ঢাকা ইডেন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো এর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষে ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ২য় বিশ্ব আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সর্বপ্রথম উপস্থাপন করেন। এছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বরত আছেন।
নিজ উদ্যোগে কুয়েতী সহায়তা ট্রাষ্টেরে মাধমে লালপুর ও বাগাতিপাড়ায় ২৪টি মসজিদ নির্মান ও প্রায় ৩৫০০ টিউবয়েল বিতরণ করেন। হাফিজ নাজনিন ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থায়নে রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বীতল ভবন ও মুরদহে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয় এবং প্রতিবছর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহাফিল ও শিক্ষা-বৃত্তির আয়োজন করা হয়। ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর লালপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ ২১১টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, শাড়ী, লুঙ্গী ও কম্বল বিতরন করেন।
তিনি করোনা কালীন সময়ে জরুরী অক্সিজেন সিলিন্ডার, হ্যান্ড স্যনিটাইজার, সাবান, পিপিই ও মাস্ক এবং ১০৫১ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। বিভিন্ন সময় লালপুর-বাগাতিপাড়ায় জায়নামাজ, টুপি, পান্জাবী, শাড়ী, লুঙ্গি, জামা, মাফলার, শাল চাদর, কম্বল, মগ এবং ডেঙ্গু রোধে সচেতনতার লক্ষে এলাকায় মশার কয়েল বিতরন করেন। এছাড়াও সব সময় সকল এলাকাবসীদের সামাজিক ভাবে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আসছেন। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ ও সমাজসেবক হিসেবে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের আলোকে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন: "মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে মনোনয়ন প্রদান করেন; আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে বিজয়ী করবে এবং লালপুর-বাগাতিপাড়ার উন্নয়নে অংশীদার বানাবে"।
What's Your Reaction?