গভীর রাতে সেহরি নিয়ে ছিন্নমূল মানুষের পাশে রকি ঘোষ
নিহাল খান,রাজশাহী প্রতিনিধি : গভীর রাতে রাজশাহী রেলষ্টেশন এলাকায় থাকা অসহায় ও ভাসমান ছিন্নমূল মানুষের মাঝে পবিত্র রমজানের সেহরি বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ রাজশাহী মহানগর শাখার একনিষ্ঠ কর্মী রকি কুমার ঘোষ।হিন্দু ধর্মের একজন মানুষ হয়েও মুসলিম ধর্মালম্বীদের প্রতি উদারতা, ভালোবাসা, মহানুভবতা ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ব্যাপক তার।
সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র মাহে রমজানের ২৬তম রোজায় রাজশাহী মহানগরীর রেলষ্টেশন এলাকা ঘুরে অসহায় গরীব,ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের মাঝে সেহেরির খাবার বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় ফুটপাতে শুয়ে থাকা প্রায় তিন শতাধিক মানুষকে ডেকে ডেকে তাদের হাতে সেহরি তুলে দেন।
সেহরির প্যাকেট তুলে দেয়ার সময় দুস্থদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সালাম জানান এবং দোয়া করতে বলেন।
এদিকে গভীর রাতে এভাবে সেহরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন দুস্থ মানুষেরা।এ সময় তারা রকি কুমার ঘোষের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি, শীত, রোজা ও ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা।করোনায় যখন সারাদেশ লকডাউনে ছিল তখন নিজ এলাকায় নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।এছাড়াও তীব্র শীতে শীতবস্ত্র বিরতণ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রকি কুমার ঘোষ বলেন,আমি যা কিছু করি, তা আমার নেতার নির্দেশে করি।আমার নেতা ও অবিভাবক জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাই।তার দেখানো দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমি সকল কিছু করি।এছাড়া আমাদের সকলের প্রান প্রিয় নেত্রী বলেছেন, "ধর্ম যার যার উৎসব সবার" এই কথাটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।আমি ধর্ম বুঝিনা, আমি বুঝি মানুষ মানুষের জন্য।একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে এটাই আমার ধর্ম।তাই আমি প্রতিবছর মুসলিম বিশ্বের পবিত্র ঈদ উপলক্ষে গরীব অসহায় মানুষের জন্য কিছুনা কিছু করে থাকি।গত বছর কয়েকটি মাদ্রাসায় ঈদ উপহার দিয়েছে, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি দিয়েছি এবং যারা কোরআন শরীফ কিনতে পারেনি আমি তাদের কোরআন কিনে দিয়েছি।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।কেউ যদি এরকম থাকেন আমাকে জানাবেন আমি গোপনে তাকে কোরআন শরীফ কিনে দিব।আর সকলের উদ্দেশ্য বলবো আগামী আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন।এই নির্বাচনে আমাদের বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে ভোট দিবেন।কারণ এই অবহেলিত রাজশাহীকে তিনিই বদলে দিয়েছেন।একটি অবহেলিত শহরকে বদলে দিয়ে দেশের শীর্ষ সৌন্দর্যের শহরে রুপান্তর করেছেন।তার উন্নয়নের অনেক কাজ বাঁকি রয়েছে।রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে আবারও মেয়র লিটন ভাইয়ের কোন বিকল্প নাই।তাই আসুন দলমত উপেক্ষা করে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করি, ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি।
What's Your Reaction?