শিশু অপহরণের দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১০ বছর কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে এক শিশুকে অপহরনের দায়ে সোহাগ ও সাগর নামে দুইজনের যাবজ্জীবন ও রনি নামে একজনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়াও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোহম্মদ আব্দুর রহিম এই দন্ডাদেশ দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা বড়াইগ্রামের ঢুলিয়া মোল্লাপাড়া মহল্লার আব্দুর করিমের ছেলে সোহাগ, মোঃ নিজামের ছেলে সাগর ও ১০ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত রনি একই এলাকার আকাইলী প্রামানিকের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালে বড়াইগ্রাম থানার একটি গ্রামে ১০ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু স্থানীয় মাদ্রাসায় জলসা শুনতে যায়। সেখান থেকে আসামিরা তাঁকে অপহরণ করে বিলের মধ্যে নিয়ে যান। সঙ্গে থাকা অন্য মেয়েদের চিৎকারে উপস্থিত লোকজন বিলে গিয়ে তাৎক্ষণিক ওই শিশুকে উদ্ধার করে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর মা সরাসরি ট্রাইব্যুনালে মো. সোহাগসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় বড়াইগ্রাম থানাকে। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে এলে আট সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে দণ্ডিত করেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বিচার হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রনির বিচার হয় শিশু আদালতে। দুটি আদালতেরই বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম। গতকাল সোমবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য ছিল। গতকাল আসামিরা আদালতে হাজির হলে আদালত তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। আজ তাঁদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
What's Your Reaction?