নাটোরের লালদীঘি থেকে মৎস পাহারাদারের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোর শহরের লালদিঘিতে ডুবে নবাব আলী (৬০) নামে এক মৎস পাহারাদারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের লালদিঘিতে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা নবাব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে। নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নবাব আলী নাটোর শহরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে।
নবাব আলীর স্ত্রী জানান, তার স্বামীর ডিউটি ছিল বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত। ডিউটির মাঝে রাতের খাওয়ার পর শেষবারের মতো ফোনে কথা হয় নবাবের সাথে। এরপর সকাল সাতটার দিকে একজন বাড়িতে এসে খবর দেয় তার স্বামীকে নৌকায় পাওয়া যাচ্ছে না, কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যান্য গার্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালদীঘিতে মৎস ব্যবসায়ী গোলাম নবীর অধীনে দীঘির মাছ পাহারাদার হিসেবে নাইট ডিউটি করতেন নবাবসহ মোট ৪জন। দীঘির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দুইজন এবং মাঝামাঝি অবস্থানে নির্ধারিত দূরত্বে আরও দুইজন। প্রত্যেকে পৃথক নৌকায় ডিউটি করতেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, নবাব আলী ১৫ বছর থেকে লালদিঘিতে নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার বিকেল ৫টায় ডিউটি শুরু করেন তিনি। সারারাত ডিউটি করে সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে তিনি নৌকা থেকে বিছানাপত্র গুছিয়ে তাদের অফিসে রেখে পুনরায় নৌকায় উঠেন। সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে অন্যান্য পাহারাদারেরা লক্ষ্য করেন নবাবের নৌকায় নবাব নেই এবং নৌকাটি দীঘির মাঝামাঝি অবস্থানে। এতে সন্দেহ হলে অপর পাহারাদারেরা এসে খোঁজ শুরু করে এবং তাদের সুপারভাইজার ও মৎস ব্যবসায়ী গোলাম নবীকে খবর দেন। এক পর্যায়ে কোথাও কোন খোঁজ না পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহী ডুবুরি দলকে খবর দিলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় লালদিঘি থেকে নবাব আলীর মরদেহ উদ্ধার করেন।
ওসি নাছিম আহমেদ এ ব্যাপারে জানান, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পাহারাদারের মরদেহটি উদ্ধার করেছে। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
What's Your Reaction?