ঠিকাদারির টাকার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ২

নিহত শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলী মুন্নার ছেলে ও কাউন্সিলর হিরোর সমর্থক। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরো ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

Apr 16, 2024 - 23:04
Apr 17, 2024 - 10:06
 0  92
ঠিকাদারির টাকার ভাগ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর: ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে নাটোরে সিহাব হোসেন শিশির (২৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। নাটোর পৌরসভা চত্বরে মঙ্গলবার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরো'র গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলী মুন্নার ছেলে ও কাউন্সিলর হিরোর সমর্থক। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরো ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারির কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হিরো ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনায় বসেন। মীমাংসার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বৈঠক ত্যাগের পর হিরো ও হাসু পৌরসভা চত্বরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে হিরোর সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাসুর উপর হামলা চালালে হাসুর হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসুর সমর্থকরা হিরোর সহযোগী শিশিরের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় গুরুতর আহত হয়। এ অবস্থায় স্থানীয়রা শিশির ও হাসুকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশিরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে হাসপাতাল চত্বর থেকে কাউন্সিলর হিরোকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আহত হাসুকেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। 

নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জানান, বিরোধ মীমাংসার জন্য অন্যান্য কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসি। কিন্তু উভয়পক্ষই আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়ায় তাদের পৌরসভা ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দিই। পরে বাইরে বের হয়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক বলে জানান মেয়র। 

হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, যেহেতু দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িত ছিল সেই কারণে আমরা দুই পক্ষেরই প্রধানকে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি এবং অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক